পেগাসাস সফটওয়্যার কি?এর আদ্যোপান্ত

আপনারা আমাদের আজকের আর্টিকেলে পেগাসাস সফটওয়্যার সম্পর্কে সকল খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি পেগাসাস সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়লে আশা করি, আপনি পরিপূর্ণভাবে একটি ধারণা পেয়ে যাবেন, তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

পেগাসাস সফটওয়্যার

পেগাসাস নামের সফটওয়্যারটি  বানানো হয়েছিল ইসরায়েলেরই এনএসও গ্রুপ নামে  একটা প্রতিষ্ঠান- যেটার মাধ্যমে খুব সহজেই একটি মোবাইল ফোন হ্যাক করে ফেলা যায়। আর এটা যদি কারো মোবাইল ফোনের মধ্যে একবার ঢুকতে পারে তাহলে এটাকে দিয়ে নজরদারি প্রতিষ্ঠান  সেই মোবাইল ফোনটির, ফটো, বা ইমেইল সবকিছু দেখতে পারে, মোবাইল ফোন দিয়ে কার সাথে কথাবার্তা বলছে এমনকি রেকর্ড করে ফেলা যায় তারপরে গোপনে এর মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা  ও যেকোন সময় চালু করে ফেলা যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন পেগাসাস সফটওয়্যার কতটা পাওয়ারফুল একটি সফটওয়্যার।

আপনি এখন বর্তমানে কোথায় আছেন, অথবা আপনি কোথায় গিয়েছিলেন, এরপরে কার সাথে আপনি দেখা করেছিলেন, সেসমস্ত বিষয়গুলো ও কিন্তু পেগাসাস চিহ্নিত  করার মত ক্ষমতা রাখে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপ অনেক বেশি সরকারের কাছে পেগাসাস নামের এই “হ্যাকিং সফটওয়্যার” কিংবা ‘স্পাইওয়্যারটি’ বিক্রি করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আইওএস কিংবা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে চলে এই রকমের শত কোটি ফোনে নজরদারি  চালানোর মতো ক্ষমতা রয়েছে এই পেগাসাস সিস্টেমের মধ্যে।

সবথেকে বড় যে সমস্যাটা সেটা হচ্ছে, সবথেকে বেশি পরিমাণে নিরাপত্তা নিয়ে সবথেকে বেশি পরিমাণে যে ব্যক্তিটি চিন্তিত, তিনিও কিন্তু চাইলে এই স্পাইওয়্যারের আক্রমণ থেকে কোন রকম ভাবে নিরাপদ নয়।

ক্লডিও গুয়ারনিয়েরি বলেছেন যে, “যখনই আমরা কোন মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে থাকি, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে আমাদের একটি প্রশ্ন বেশি শোনা যায়- কী করলে ভবিষ্যতে আবারও এই ধরনের হ্যাকিং কার্যক্রমগুলো ঠেকানো যাবে। আসলে সত্যি কথা বলতে কি, এটা কোন উপায় নেই।”

গত কিছুদিন ধরে রাজনীতি এবং প্রযুক্তি খাতে যে বিষয়টা নিয়ে সবথেকে বেশি আলোচনা করা হচ্ছে সেটা হল, স্পাইওয়্যার প্যাগাসাস বিশ্বজুড়ে নানা দেশে মানবাধিকার কর্মীরা আইনজীবী ও রাজনৈতিক পদে যারা রয়েছে তাদের মোবাইল ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে একটি বেসরকারি কোম্পানি এই সফটওয়্যারটিকে নিয়ে তুমুল পর্যায় আলোচনা করা হচ্ছে।

Pegasus-Software

পেগাসাস সফটওয়্যারটি মূলত নজরদারি করার জন্য বানানো হয়েছে। ইসরাইলের সংস্থাই সফটওয়্যারটিকে বানিয়েছে যাতে করে যে কারো মোবাইল ফোনে আড়ি পাতা যায়।

Pegasus (spyware)

আর এটাকে কিন্তু আপনার সাধারন নজরদারি করে মোটেও ভুল করবেন না, আগে ফোনে আড়ি পেতে শুধু মাত্র দুই প্রান্তে একজন আরেকজনের সাথে কি কথা বলছে মোবাইল ফোন দিয়ে সেই বিষয়টা শোনা যেতো। কিন্তু এই পেগাসাস সফটওয়ারের মাধ্যমে পুরো মোবাইল ফোনটিকেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলতে পারে হ্যাকার। 

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আপনি যে কথাবার্তা বলেন এরপরে হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ গ্যালারিতে যে ছবিগুলো রয়েছে সেগুলো মোবাইল ফোনের মধ্যে কি কি ধরনের তথ্য রয়েছে সমস্ত কিছুই এই পেগাসাস সফটওয়্যার এর মাধ্যমে জানা যায়। সবথেকে বড় ভয়ানক একটি ব্যাপার যেটা সেটা হল, যিনি মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করছেন তিনি জানতে পারেন না যে তার মোবাইল ফোনটি হ্যাক করা হয়েছে।

মোবাইল ফোনের সমস্ত তথ্য গুলো পাচার হয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর কাছে। কিন্তু কারো মোবাইল ফোনে যদি পেগাসাস সফটওয়্যারটি ইন্সটল করার দরকার হয় তাহলে তো তার মোবাইল ফোনটি কি আগে একবার হাতে নেওয়া লাগবে তাই না? সব থেকে মজার ব্যাপার হলো এখানেও পেগাসাস অন্য সকল হ্যাকিং সফটওয়্যার থেকে অনেকগুণ এগিয়ে রয়েছে। সাধারণত অন্য সকল হ্যাকিং কাজগুলো করার জন্য ইমেইল কিংবা মেসেজে একটা ওয়েবসাইটের লিংক পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপরে সেই লিংকে ক্লিক করলে অটোমেটিক ভাবে সফটওয়্যারটি মোবাইল ফোনে ডাউনলোড হয়ে যায়। 

অপরদিকে পেগাসাস এর নতুন যে ফিচারটি রয়েছে সেটি হল হোয়াটস অ্যাপে ভয়েস দিয়ে কিংবা হোয়াটস অ্যাপে কল দিয়ে এই সফটওয়্যারটিকে মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করে দেওয়া যাবে। মনে করুন, আপনার হোয়াটসঅ্যাপে অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন কল আসলো এবং আপনি সেটা রিসিভ করলেন তাহলেই কিন্তু আপনার মোবাইল ফোনের মধ্যে ইনস্টল হয়ে যাবে এই পেগাসাস সফটওয়্যারটি, আর আপনি জানতে পারবেন না যে আপনার মোবাইল ফোনে পেগাসাস সফটওয়্যারটি ইন্সটল হয়ে গিয়েছে।

আপনি আপনার মোবাইল ফোনের মধ্যে ভয়ানক গুপ্তচরকে রেখে দিচ্ছেন আপনি। পেগাসাস এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কি কি করা যায় সেটা যদি আপনি জানতে পারেন তাহলে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে। তাহলে চলুন সেটাই জেনে নেই  পেগাসাস সফটওয়্যার মাধ্যমে কি কি  করা যায়। 

পেগাসাস সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কি কি করা যায়? 

[su_box title=”” style=”bubbles” box_color=”#034e73″]

পেগাসাস সফটওয়্যার আপনার মোবাইল ফোনে ইন্সটল করা থাকলে আপনার মোবাইল ফোনের থাকা সকল তথ্য চলে যাবে অন্য কারও হাতে। আপনার মোবাইল ফোনে ঢুকে হ্যাকাররা আপনার কথা রেকর্ড করতে পারবে আপনি কার সাথে কথা বলছেন প্রতিদিন সেটা চাইলেই হ্যাকাররা রেকর্ড করে রাখতে পারবে। তারপরে এমন কি আপনার জিপিএস ট্র্যাক করে আপনার লোকেশন পর্যন্ত জেনে নিতে পারবে।

গোপনে আপনার মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ওপেন করে নিতে পারবে, মেসেজ করতে পারবে হোয়াটসঅ্যাপে আপনি কার সাথে মেসেজ করেন সেগুলো দেখতে পারবে। তারপর আপনার মোবাইল ফোনের সকল পাসওয়ার্ড গুলো দেখে নিতে পারবে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্টের বা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা আপনি আপনার ফোনে যে একাউন্টগুলো ব্যবহার করেন সবগুলোর পাসওয়ার্ড কিন্তু হ্যাকার জেনে নিতে পারবেন খুব সহজেই।

(On January 17, 2023, a book about the Pegasus spyware by investigative journalists, Laurent Richards and Sandrine Rigaud, was published)

তারপরে এমন কি আপনাকে ফাঁসানোর জন্য আপনার মোবাইল ফোনে ষড়যন্ত্রমূলক কোন ছবি কিংবা ভিডিও কিংবা ফাইল ও রেখে দিতে পারবে। তার পরে পুলিশ এসে কিন্তু আপনাকে ধরবে আপনার মোবাইল ফোনে এটি কীভাবে আসবে সেটা কিন্তু তারা দেখবে না। আর তাই সে কারণেই পেগাসাস কে বলা হচ্ছে দুনিয়ার সবথেকে ভয়ঙ্কর একটা সফটওয়্যার। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে আপনি লাখ লাখ টাকা দামের আইফোন ব্যবহার করতেছেন।

আর আমার মোবাইল ফোনের সিকিউরিটি সিস্টেম অনেক শক্তিশালী, তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে আছেন। তার কারণ হলো পেগাসাস সফটওয়্যার এর কাছে সাধারণ মানের একটা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে যেটা এবং আইফোন ও একই। আইফোনের সিকিউরিটি সিস্টেম ও ভেঙ্গে ফেলতে পারবে এই পেগাসাস সফটওয়্যার। আপনি ভাবতে পারেন যে হোয়াটসঅ্যাপে এবং টেলিগ্রামের মেসেজ তো encrypt করা সেগুলোতো যাকে পাঠানো হয় সে এবং যে পাঠায় সে ছাড়া কেউ দেখতে পারে না।

আপনি একেবারে ভুল ভাবছেন আপনার ফোনে যদি একবার কোন রকম ভাবে পেগাসাস সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে দিয়ে দেয়। তাহলে কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা টেলিগ্রাম এর মেসেজ ও অনায়াসে হ্যাকারদের দখলে নিয়ে নিতে পারবে। শুধু তাই নয় আপনার অজান্তেই আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যে কাউকে মেসেজ পাঠাতে পারবে। মেসেজ পাঠিয়ে আপনি দেখার আগেই কিন্তু আপনার মোবাইল ফোন থেকে সেই মেসেজটা ডিলিট করে দিতে পারবে যাতে আপনি সেটা আর না দেখতে পারেন।

[/su_box]

pegasus-malware

[su_box title=”” style=”bubbles” box_color=”#034e73″]

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে কিভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবে এই ছোট্ট একটি সফটওয়্যার। এখন আমি আপনাদেরকে একটু অতীতে নিয়ে যাচ্ছি তবে বেশি দূরে নয়। 2016 সালের দিকে পেগাসাস এর প্রথম একটি সংস্করণ এর কথা গবেষকেরা জানতে পেরেছিল।

Pegasus spyware

আর সে সময় নির্দিষ্ট ব্যক্তির মোবাইলে ফোনে টেক্সট এসএমএস বা ই-মেইল পাঠানো হতো আর যেটার মধ্যে থাকতো একটা লিংক, আর তারপরে সেই লিঙ্কে যদি কেউ ভুলবশত একবার ক্লিক করে দিত। তাহলেই পেগাসাস সফটওয়ারটি তার ফোনে ইন্সটল হয়ে যেত এবং তার মোবাইল ফোনটি হ্যাকাররা দখল নিয়ে নিতে পারত। আর সেই 2016 সালে থেকে কিন্তু এখন এই সফটওয়্যার টি অনেক আপডেট করা হয়েছে, এখন লিংকে ক্লিক না করেই ফোনের দখল নিতে পারে এই পেগাসাস সফটওয়্যারটি।

আবার মোবাইল ফোনের যদি কোনো ত্রুটি থাকে তাহলে সেই সমস্যাটিকে কাজে লাগিয়ে ও কিন্তু আপনার মোবাইল ফোনে পেগাসাস সফটওয়্যারটি ঢুকে যেতে পারে। 2019 সালের দিকে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছিল যে ওই ধরনের সুযোগ নিয়ে ১৪০০ মোবাইল ফোনে ম্যালওয়ার পাঠিয়ে দিয়েছিল। আর সে জন্য নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির মোবাইল ফোনে একটি কল করা হতো।

আর সেই ফোন কলটির মাধ্যমেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির মোবাইল ফোনে পেগাসাস এর যে কোডগুলো রয়েছে সেটা তার মোবাইল ফোনে ইন্সটল করে দেওয়া হতো। সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাপেলের আই মেসেজ সফটওয়্যার এর বাগ ব্যবহার করে পেগাসাস সফটওয়্যারটি পাঠানো শুরু করে nso group

সাধারণত মোবাইল কেনার সময় এরকম এর সফটওয়্যার মোবাইল ফোনে ইন্সটল করা থাকে কিংবা আই মেসেজ খুব জনপ্রিয় যে সকল সফটওয়্যার গুলো রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ এই সমস্ত অ্যাপসেরকোন ত্রুটি খুঁজে বের করে nso এর মত কোম্পানিগুলো।

কারণ এর ফলে একসঙ্গে অনেকগুলো ফোনে পেগাসাস সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে দেওয়া যায়। আর এই ধরনের ক্ষেত্রে ফোনের মালিক স্পাইওয়্যারবাহি কোন মেসেজে ক্লিক না করলেও তার মোবাইল ফোনটি হ্যাক হয়ে যায়, অটোমেটিক ভাবে।

ভিকটিমদের ব্যক্তিদের মোবাইল ফোনের ফরেনসিক এনালাইটিক্স করে দেখা গিয়েছে যে সাধারণ কৌশলে যদি কাজ না হয়। তাহলে আশে পাশে থেকে কোন ওয়ারলেস ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে ও নির্দিষ্ট একটি মোবাইল ফোনে এই পেগাসাস সফটওয়ারটি ঢুকিয়ে দেওয়া যায়। আর এক বার যদি আপনার মোবাইল ফোনে এই পেগাসাস সফটওয়্যারটা ঢুকে পড়তে পারে।

Pegasus Software

তাহলে কিন্তু আপনার মোবাইল ফোনের সকল তথ্য কিংবা আপনার সকল ধরনের ফাইল এবং আপনার মোবাইল ফোন এর সকল একাউন্টের পাসওয়ার্ড সে তার নিজের মতো করে চালানোর সুযোগ পেয়ে যায় মানে মোবাইল ফোনের সকল এক্সেস এই সফটওয়্যারটি দিয়ে যায়।

এসএমএস অ্যাড্রেসবুক কল হিস্ট্রি, কার কার সাথে কথা বলেছেন সেগুলো জানতে পারে, ক্যালেন্ডার ইমেইল, ইমেইল দিয়ে আপনি কাকে কাকে মেইল করেছেন বা আপনাকে কে কে মেইল করেছে ইমেইল বক্সে আপনাকে কি লিখেছেন বা আপনি ইমেইল করে কি পাঠিয়েছেন সবকিছু এই সফটওয়্যারটি দেখতে পারে।

তারপরে আপনি ইন্টারনেট কি লিখে সার্চ করছেন এক কথায়  বললে ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও জেনে যায়। পেগাসাস সফটওয়্যারটি যখন সফলভাবে কোন আইফোনে  আক্রমণ করে তখন ওই মোবাইল ফোনের ডিভাইস এর এডমিন হিস্টরি পাওয়ার পেয়ে যায় মানের মোবাইল ফোনের মালিক যে সকল কাজগুলো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে করতে পারবে, পেগাসাস সফটওয়্যারটিও সে কাজগুলো করতে পারবে তার থেকে অনেক বেশি কিছু করতে পারবে অনায়াসে। 

এখন কথা হচ্ছে যে পেগাসাস কারা ব্যবহার করে এই সফটওয়ারটি কোন ধরনের মানুষেরা ব্যবহার করে বেশি? তাহলে আসুন আমরা এখন সেই বিষয়টা জেনে নেই।

[/su_box]

পেগাসাস সফটওয়্যারটি কারা ব্যবহার করে? 

[su_box title=”” style=”bubbles” box_color=”#034e73″]

পেগাসাস এর সার্ভিস কিনার জন্য চার কোটি টাকার মতো খরচ করতে হয়। আর প্রতি 10 জনের মোবাইল ফোনে ইন্সটল করার জন্য 5 কোটি টাকা করে লাগে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে এই রকমের সফটওয়্যার টি বানানোর কি দরকার ছিল? আর কোন ধরনের মানুষই বা কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই স্পাইওয়্যার সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আর কেনই বা ব্যবহার করে? তারপরে কাদের মোবাইল ফোনেই বা এই সফটওয়্যার ইন্সটল করা হয় সেই ফোনের তথ্য জানার জন্য ?  NSO Group দাবি করছে যে তারা বিভিন্ন দেশের সরকারি গোয়েন্দা বিভাগ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ব্যবহার করে জঙ্গী সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহার করতে পারে। তারপরে মেক্সিকো এর সরকার দাবি করছে যে তারা এই পেগাসাস সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে সেখানকার drag  ব্যবসায়ী l চাপোকে ধরতে পেরেছে।

Pegasus Software

বিখ্যাতইংরেজিপত্রিকাদৈনিকগার্ডিয়ান সহ টোটাল 17 টি গণমাধ্যম পেগাসাস সফটওয়্যারটির কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে  এনেছে  সবার। আর এটা আরও একটা  বিরল দৃষ্টান্ত। এর আগে কিন্তু কখনোই একটা বিষয়ের উপরে এতগুলো মিডিয়া কাজ করেনি। এতগুলো মিডিয়া কখনোই একটা বিষয়ের উপরে ছুটি নেই এখন তাদেরকে  ছুটতে হচ্ছে, আর তার একটাই কারণ এই সফটওয়্যারটির সাথে অনেক মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা পার্সোনাল তথ্য জড়িত। আমি এটা বলছি না যে পেগাসাস সফটওয়্যার দরকার নেই তবে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কিন্তু এই সফটওয়ারটি দরকার। কিন্তু নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে যদি তথ্য চুরি করে নিয়ে যায়। তাহলে তো আর মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকবে না। আর এই গোটা বিষয়টি সাথে যদি জড়িয়ে যায় ব্যবসা ক্ষমতা ধরে রাখার নোংরা খেলা, তাহলে কিন্তু সেই স্পাইওয়্যার মানুষের উপকারের থেকে ক্ষতিটাই বেশি করবে। আরে পেগাসাস সফটওয়্যারটির ক্ষেত্রেও কিন্তু একই বিষয়টা ঘটেছে।

আমাদের শেষ কথা 

তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা দেখেছেন পেগাসাস সফটওয়্যারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন। আর আপনি যদি এই রকমের তথ্য প্রতিদিন পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।

আমাদের আজকের আর্টিকেলে এক কথায় বললে পেগাসাস সফটওয়্যার কোন কোম্পানি বানিয়েছে এবং এটি কারা ব্যবহার করে কি কাজে ব্যবহার করে কেন ব্যবহার করে এই সমস্ত প্রশ্ন গুলোর উত্তর আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা পেয়ে গিয়েছেন। তারপরে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে একটা মোবাইল ফোনের কি কি জানা যায় তারপরে এই সফটওয়্যার টি মোবাইল ফোনে কিভাবে অটোমেটিক ভাবে ইন্সটল হয় সেটা জানতে পারলেন।

আর এই পেগাসাস সফটওয়ারটি প্রথম রিলিজ করা হয়েছিল 2016 সালের দিকে, আর তখনকার সময়ের থেকে বর্তমানে এখন অনেকটাই আপডেট হয়েছে সেটা আপনারা আশা করি, আজকের আর্টিকেল থেকে পরিপূর্ণভাবে একটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। সকলে ভালো থাকবেন পরে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

[/su_box]